ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘ ২০ বছর পর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী শনিবার, ১৯ জুলাই, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ সমাবেশ ঘিরে জমে উঠেছে প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন,
"সড়কে সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ বাড়ত। সেই বিবেচনায় জনস্বার্থে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করছি। নগরবাসীর যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।"
তিনি জানান, সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে গঠন করা হয়েছে ৮টি অনুবিভাগ।
প্রযুক্তির ব্যবহারে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন। এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবে যারা ২০টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।
মাঠে থাকবে ১৫টি মেডিকেল বুথ, যেখানে প্রতিটিতে ২ জন করে চিকিৎসক দায়িত্বে থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উঠে আসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা প্রসঙ্গ।
এ বিষয়ে পরওয়ার বলেন,
"গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ধরনের হামলা ফ্যাসিবাদের চিহ্নমাত্র। জামায়াতে ইসলামী সব ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।"
সমাবেশের মূল লক্ষ্য ও দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা
গণহত্যার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার দাবি
রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন
পরওয়ার বলেন,
"এই সমাবেশ গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে উদ্ভূত। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণেই রাষ্ট্রের দিক নির্ধারণ হবে।"
তিনি সকলের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
#জামায়াত #সমাবেশ #সোহরাওয়ার্দী #ঢাকা_রাজনীতি #বাংলাদেশ_নির্বাচন #গণতন্ত্র #রাজনৈতিক_সংবাদ #মিয়া_গোলাম_পরওয়ার #জাতীয়_সমাবেশ #বাংলাদেশ_রাজনীতি