ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০২ এএম
আপডেট: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০২ এএম
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান লিখিত বক্তব্যে বলেন,
“জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৬ নম্বর দফায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য আন্দোলন হয়েছে’। কিন্তু বাস্তবে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পুনর্বহালের দাবিতে সংগঠিত হয়। কোটার ধারাবাহিক আন্দোলনের ইতিহাস বাদ দিয়ে মিথ্যা ইতিহাস দেওয়া হয়েছে, যা বৃহৎ ইতিহাস বিকৃতি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন,
“জুলাই ঘোষণাপত্রে গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রায় এক হাজার নিহতের কথা বলা হলেও, জাতিসংঘের পরিসংখ্যান ১৪০০-এর বেশি বলে উল্লেখ করে। এ ঘটনাসমূহের সঠিক তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রয়োজন। গণঅধিকার পরিষদ প্রশ্ন তুলেছে, ‘যে ফ্যাসিবাদী বাহিনী জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি?’”
সংবাদ সম্মেলনে তারা উল্লেখ করেন,
“নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, নরেন্দ্র মোদির আগমনবিরোধী আন্দোলন, ৫৭ সেনা অফিসারের হত্যাকাণ্ড, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জুলাই ঘোষণাপত্রে জায়গা পায়নি। এসব ঘটনাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিপ্লবের বীজ বপন করেছে।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন,
“অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় নির্বাচনের রোডম্যাপ অবশ্যই গ্রহণযোগ্য, তবে নির্বাচনের আগে ঐকমত্যভিত্তিক সংস্কার ও অবাধ, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নূরে এরশাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।