ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
আপডেট: রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। এই সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আমীর খসরু বলেন,
“বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথে হাঁটছে। বর্তমান সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের মূল দায়িত্ব—যেখান থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, সেখান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া।”
তিনি রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন:
“সব দলের আলাদা দর্শন থাকতে পারে, কিন্তু এক জায়গায় আসতেই হবে—এটাই গণতন্ত্র।”
“চাপিয়ে দেওয়া কোনো পরিবর্তন কখনও টেকসই হয় না।”
“বক্তব্যে বিষোদগার বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র মানে অন্যের কথা শ্রবণ ও সম্মান করা।”
আমীর খসরু বলেন:
“স্বৈরাচারের পতনের পর মানুষের মানসিকতায় বড় পরিবর্তন এসেছে। এটা না বুঝলে কোনো রাজনৈতিক দলই টিকে থাকবে না।”
তিনি সতর্ক করেন যে, সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে না এলে জাতীয় সংস্কার সম্ভব নয়।
বিনিয়োগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন:
“এই সরকারের সময়ে বিনিয়োগ আসেনি—তবে এতে সরকারের দোষ নেই।”
“অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য ডিরেগুলেশন ও লিবারেলাইজেশন জরুরি।”
“সরকারের দায়িত্ব অনেকখানি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে।”
“নিয়ন্ত্রণ যত বেশি, দুর্নীতি তত বাড়ে।”
তিনি আরও বলেন,
“অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিক করতে হবে, এতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।”
আমীর খসরু অভিযোগ করে বলেন:
“ফ্যাসিবাদের মতো বাজেট পাসের প্রয়োজন ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকার হওয়ায় তাদের অন্তর্বর্তী বাজেট দেওয়া উচিত ছিল।”
#গণতন্ত্র #আমীরখসরু #বিএনপি #CPDসংলাপ #বাংলাদেশঅর্থনীতি #নির্বাচন২০২৫ #অন্তর্বর্তীসরকার #রাজনৈতিকসংস্কৃতি #বিনিয়োগবাংলাদেশ