ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা, নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচী বিবেচনায়।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী আগস্টের শেষ দিকে তারেক রহমান দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্ষাকালের কঠিন আবহাওয়া এবং বড় আকারের গণ-অভ্যর্থনার প্রস্তুতিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে দল সময় নিয়ে ভাবছে।
তারেকের গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে থাকার প্রস্তুতি চলছে। এক সময় এই বাড়িটি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল, এখন সেখানে সংস্কারকাজ শেষের পথে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে ফিরলে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন এবং ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য চলে যান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পথে আর কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিও ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তারেকের প্রত্যাবর্তন হবে বা ‘রাজকীয়ভাবে’ নির্বাচনে জয়ী হয়ে অথবা সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার একটি কৌশল। তারেকের সঙ্গে লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা উঠে এসেছে।
দলের মধ্যে আবার নতুন করে ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’ স্লোগানটি উজ্জীবিত হচ্ছে। তবে সঠিক প্রত্যাবর্তনের সময় এখনও দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবেই গোপন রাখা হয়েছে।
তারেক রহমান
, বিএনপি
, দেশে প্রত্যাবর্তন
, রাজনীতি ২০২৫
, জাতীয় নির্বাচন
, বাংলাদেশ রাজনীতি
, গুলশান বাড়ি
, নিরাপত্তা
, রাজনৈতিক প্রস্তুতি