তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে ডর্‌পের আলোচনা সভা

🗣️ সাংবাদিকদের কাছে প্রত্যাশা ও করণীয় তুলে ধরা হয়
‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কাছে প্রত্যাশা ও করণীয়’—এই শিরোনামে আয়োজিত সভায় অংশ নেন ঢাবি সাংবাদিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্যরা।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ডর্‌প-এর উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মো. আজহার আলী তালুকদার। বিশেষ আলোচক ছিলেন মো. আব্দুস সালাম মিয়া এবং সমাপনী বক্তব্য দেন ডর্‌পের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এএইচএম নোমান।

🩺 তামাক নিয়ন্ত্রণে ৬টি প্রধান প্রস্তাব
আলোচনা সভায় ডর্‌প-এর তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর ডা. সিলভানা ইশরাত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল’ (FCTC)-এর আলোকে সরকারের খসড়া আইনের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী তুলে ধরেন। সেগুলো হলো:

1. পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা

2. তামাকপণ্যের বিক্রয়কেন্দ্রে প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা

3. তামাক কোম্পানির CSR (Corporate Social Responsibility) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা

4. ই-সিগারেট ব্যবহারে শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা

5. খোলা বা খুচরা তামাক বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা

6. স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা

🏫 বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও তামাকমুক্ত পরিবেশের আহ্বান
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ সমগ্র ক্যাম্পাস ধূমপানমুক্ত করার বাস্তবিক পদক্ষেপ, তামাকবিরোধী গবেষণায় সাংবাদিকদের সম্পৃক্ততা এবং নীতিনির্ধারক পর্যায়ে মিডিয়ার ভূমিকার বিষয়েও বিস্তর আলোচনা হয়।

🎙️ গবেষণা ও রিপোর্টিংয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা
ডর্‌প প্রতিনিধি ও আলোচকরা বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের তামাকবিরোধী গবেষণামূলক রিপোর্ট প্রকাশ এবং সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

📢 বিশেষ বার্তা:
বাংলাদেশে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে। শক্তিশালী আইন ও গণমাধ্যমের সক্রিয়তা পারে এই মৃত্যু ঠেকাতে।