সখিপুর-শালগ্রামপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়ক: চলাচলে নরকযন্ত্রণার চিত্র, জনদুর্ভোগ চরমে

সড়কটির অবস্থা এমন যে স্থানীয়রা একে অভিহিত করছেন 'নরকের রাস্তা' হিসেবে। প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে কোথাও খানাখন্দ, কোথাও আবার গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানি মরণফাঁদের মতো ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

🚧 ভোগান্তির চিত্র সরেজমিনে

সখিপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া ও সখিপুর-শালগ্রামপুর অংশে প্রতিনিয়ত ঘটছে যানজট ও দুর্ঘটনা। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলশিক্ষার্থী ও কৃষিপণ্য পরিবহনকারীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

• কচুয়া থেকে আড়াইপাড়া সড়কে পিচ ও পাথর উঠে মাটি বেরিয়ে এসেছে।

• মিলপাড়া ও কচুয়া বাজার এলাকায় সড়কের গর্তে জমে থাকা পানি পথচারী ও যানবাহনের জন্য বড় হুমকি।

• ভারী যান আটকে পড়ে দীর্ঘ সময় ধরে যানজট লেগে থাকে।

🚛 বাণিজ্যিক যোগাযোগেও ধস

এক ট্রাকচালক জানান, “এই রাস্তাটাই ছিল ঘাটাইল, মধুপুর, গারো বাজার, ভালুকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে কলা, আনারস ও কাঁঠাল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম। এখন ট্রাক চালানো মানে জলে নৌকা টানার মতো কষ্টসাধ্য।”

অ্যাম্বুলেন্সচালক আলতাব হোসেন বলেন, “সখীপুর থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে যাওয়ার অন্যতম সহজ পথ ছিল এটি। এখন এতটাই খারাপ যে আর যাওয়া সম্ভব না।”

🗣️ জনপ্রতিনিধি ও প্রকৌশল দপ্তরের মন্তব্য

সখিপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ছবুর রেজা জানান, “দীর্ঘদিন ধরে টেকসই সংস্কার হয়নি। শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। যোগাযোগব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।”

সওজ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরী খান বলেন,
“অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল ও লাগাতার বৃষ্টির কারণে রাস্তার এ অবস্থা হয়েছে। ইতিমধ্যে আড়াইপাড়া থেকে সখীপুর অংশের জন্য স্থায়ী সংস্কার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২-৩ মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”

🏷️ 

#টাঙ্গাইল #সখিপুর #রাস্তার_দুরবস্থা #জনদুর্ভোগ #বাংলাদেশ_সড়ক #সওজ #সংস্কার