দুর্গেশ সরকার, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫
এই প্রকল্পে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর সরেজমিনে পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সিলেট দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন,
"ঢালাই শেষ হওয়ার আগেই ফাটল, ভাঙন—এগুলো নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের সরাসরি প্রমাণ। আমরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবো।"
২০২৪ সালে দুই প্যাকেজে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজ পায় ঢালি কনস্ট্রাকশন এবং দেলোয়ার হোসেন কনস্ট্রাকশন। চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেড় বছরেও শেষ হয়নি অর্ধেক কাজ। স্থানীয়দের দাবি, প্রকৃত অগ্রগতি ৩০ শতাংশের বেশি নয়।
বিচ্ছিন্ন পর্যটন এলাকাগুলোর অন্যতম প্রবেশপথ এই সড়কে প্রতিদিনই চলছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। খানাখন্দে ভরা সড়ক দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় শিক্ষার্থী, রোগী ও পর্যটকদের। বৃষ্টিতে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, "যত উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি ভেঙে গেছে। যে ঢালাই গত সপ্তাহে হয়েছে, তা-ও এখন উঠে যাচ্ছে।"
ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, "বন্যার কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। নিম্নমানের কোনো উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি।" তবে এলজিইডির সিলেট অফিসের প্রকৌশলী এ. কে শহীদুল ইসলাম বলেন,
"বারবার সতর্ক করার পরও ঠিকাদার গুরুত্ব দেয়নি। এখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
#সালুটিকর #গোয়াইনঘাট #সড়কদুর্নীতি #সিলেটসংবাদ #দুদক #LGED #ঠিকাদারি #বাংলাদেশসড়ক