হাবিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫
প্রাণীসম্পদ বিভাগ জানায়, ভাইরাসটি মূলত মশা বা মাছির মাধ্যমে একটি গরু থেকে আরেকটিতে ছড়ায়। দামুড়হুদা সদর, দেউলি, জয়রামপুর, পুড়াপাড়া, হেমায়েতপুরসহ কয়েকটি গ্রামে রোগটি মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন,
“সরকারি ভ্যাকসিন না থাকায় আমরা খামারিদের ‘গো পক্স’ নামের একটি বেসরকারি ভ্যাকসিনের পরামর্শ দিচ্ছি। বড় গরু চিকিৎসা পেলে সেরে উঠলেও ছোট ৩-৬ মাস বয়সি বাছুরগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে।”
দেউলি গ্রামের গরু চাষি তোতা মিয়া বলেন,
“আমার ৭ ও ৯ মাস বয়সি দুইটি বাছুর গরু আক্রান্ত হয়েছে। গায়ে গুটি ওঠে, পরে গর্ত হয়ে যায়। দুর্গন্ধে কেউ পাশে যায় না।”
একই গ্রামের আহাদ আলি জানান, তার দুটি বাছুরের মধ্যে একটি আক্রান্ত। তিনি বলেন,
“প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে তেমন সাহায্য পাচ্ছি না, বাইরের চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি।”
এক খামারি মজিবার হোসেন বলেন,
“১ লাখ ৯০ হাজার টাকায় গরুর দাম ঠিক হয়েছিল। পরদিন গরুটি অসুস্থ হলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হই।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রামীণ পশু চিকিৎসক জানান,
“এই ভাইরাসের কার্যকর কোনো ওষুধ নেই। আক্রান্ত বাছুরদের ৮০%-ই মারা যাচ্ছে।”
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ভেটেরিনারি সূত্রগুলো বলছে, ৫০টির মতো বাছুর ইতিমধ্যে মারা গেছে।
#লাম্পি_স্কিন_রোগ #গরুর_ভাইরাস #দামুড়হুদা #চুয়াডাঙ্গা_খামার #বাংলাদেশ_পশু_সম্পদ #গরু_মৃত্যু #প্রাণিসম্পদ_ভ্যাকসিন #গো_পক্স #গ্রামীণ_অর্থনীতি