ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:১২ এএম
আপডেট: সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:১২ এএম
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়,
“চীন সর্বদা জাতীয় স্বার্থে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে। কোনো জবরদস্তি বা চাপের মাধ্যমে আমাদের সিদ্ধান্ত বদলানো যাবে না।”
এ বিবৃতি প্রকাশ করেছে Associated Press।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বেইজিং তাদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে এবং কোনো প্রকার বিদেশি চাপ মেনে নেবে না।
এদিকে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন,
“চীনারা তাদের সার্বভৌমত্বকে খুব গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে। আমরা তাদের ওপর জোর করছি না, তবে তারা যদি ১০০ শতাংশ শুল্ক দিতে চায়, সেটাও তাদের বিষয়।”
তিনি আরও বলেন,
“চীনাদের যেকোনো বিষয়েই দরকষাকষির অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তবে আমি মনে করি, এখনো একটি সমঝোতার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।”
তবে বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক পরামর্শক সংস্থা টেনিও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্যাব্রিয়েল উইল্ডাও বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তাহলে বর্তমান অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি শরতের সম্ভাব্য শি-ট্রাম্প বৈঠকও ব্যর্থ হতে পারে।”
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন,
“এই হুমকিগুলো বাস্তবায়িত হলে শুধু চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নয়, গোটা বৈশ্বিক বাণিজ্য আলোচনাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
বর্তমানে চীন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল আমদানিকারক দেশ, যেখানে রাশিয়া ও ইরান তাদের প্রধান জ্বালানি সরবরাহকারী। তাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বা চাপ কার্যকর হলে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।