"ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে পুরো অঞ্চল পরিণাম ভোগ করবে": হুঁশিয়ারি ইরানের

সোমবার (৭ জুলাই) ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কূটনীতিকরা।

🗣️ আরাঘচির বক্তব্যের মূল পয়েন্ট:

“আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা ছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব এবং এনপিটি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।” — আব্বাস আরাঘচি

তিনি আরও বলেন,

“ইরানের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, আর যুক্তরাষ্ট্র এতে অংশ নিচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞা।”

💥 ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক সংঘর্ষ: এক নজরে

• গত মাসে ইসরায়েল ইরানের একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়

• জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলে

• যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি স্থাপনায় পৃথক হামলা চালায়, যার মধ্যে রয়েছে নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইসফাহান

📊 ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান (সরকারি তথ্যসূত্র অনুযায়ী):

🛑 ব্রিকস প্লাসের নিন্দা ও সমর্থন:

ব্রিকস প্লাস জোট (১১ সদস্যবিশিষ্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে:

“আমরা ১৩ জুন ইরানে চালানো হামলার নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।”

এই বিবৃতিকে ইরান "কূটনৈতিক বিজয়" বলে অভিহিত করেছে।

🔍 বিশ্লেষণ: কি ঘটতে পারে সামনে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান ও ইসরায়েলের চলমান এই উত্তেজনা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে। যদি কূটনৈতিক সমাধান না আসে, তাহলে এটি একটি সম্পূর্ণ আঞ্চলিক যুদ্ধ-এ রূপ নিতে পারে।

🔖 

#ইরানইসরায়েল #ব্রিকস২০২৫ #আন্তর্জাতিকবিষয় #মধ্যপ্রাচ্যসংঘাত #আবাসআরাঘচি #IranIsraelConflict #BRICS #NuclearTensions #MiddleEastCrisis