ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫
এই অপারেশন নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন এক ইসরায়েলি পাইলট। তার দেওয়া বিবরণে উঠে এসেছে—এই অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বহু বছর ধরেই।
ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ওই রিজার্ভ পাইলট (নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করা হয়নি) জানান, হামলার আগের রাতে তিনি ছিলেন একটি পারিবারিক সম্মেলনে। হঠাৎ আসে নির্দেশ—“আগামীকাল ভোরে স্কোয়াড্রনে রিপোর্ট করুন”।
তার ভাষায়, “আমি পরিবার, অতিথিদের সামনে স্বাভাবিক থাকার অভিনয় করছিলাম। কারণ slightest leak মানেই পুরো মিশনের মৃত্যু।”
তিনি বলেন, স্ত্রী বিদায় জানানোর সময় শুধু বলেছিলেন, “যা করতেই হয় করো, আমরা আছি পাশে।” সেই আলিঙ্গনকে “অক্সিজেন” বলে আখ্যা দেন তিনি।
অভিযান চলাকালীন পাইলট জানান, তেহরান শহরকে এত কাছ থেকে দেখে যেন শান্তির ছবি মনে হয়েছিল—যদিও নিচে তখন মৃত্যু নামছিল। ইরানের পাহাড়ি এলাকা ও রাতের অন্ধকারে পরিচালিত মিশন ছিল শ্বাসরুদ্ধকর।
তিনি বলেন, “এই অভিযান ছিল প্রযুক্তি, কৌশল ও সাহসের পরীক্ষার মঞ্চ। আমরা সব সময় জানতাম, শত্রু শুধু বিপজ্জনক নয়, চতুরও।”
অভিযানে অংশ নেয় ইসরায়েলের শতাধিক যুদ্ধবিমান ও ড্রোন। পাইলট জানান, “ফ্লাইটের সময় রেডিও নীরবতা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরাও ছিল চ্যালেঞ্জিং।”
এছাড়া সব টার্গেট ছিল পাহাড়ের ভিতর, গোপনে নির্মিত। তাই বাঙ্কার-ব্লাস্টার প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল অপরিহার্য।
অভিযান শেষে ঘাঁটিতে ফিরে পাইলট বলেন, “এই মিশন প্রমাণ করে, প্রযুক্তি ও ঐক্যের মাধ্যমে ইসরায়েল কতটা অপ্রতিরোধ্য।”
শেষে তিনি জানান, “আমরা ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে নই, বরং তাদের সেই অংশের বিরুদ্ধে, যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি—একদিন শান্তি আসবে।”
#অপারেশন_রাইজিং_লায়ন
#ইসরায়েলইরান
#পারমাণবিক_আক্রমণ
#মিডলইস্ট_কনফ্লিক্ট
#IDF
#JerusalemPost
#IranIsrael
#TehranAirstrike
#বিমান_অভিযান