ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ এএম
আপডেট: বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ এএম
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এসব ট্রাকে ছিল আটা, শিশু খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী। তবে জাতিসংঘ বলছে, কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে ত্রাণ ঢুকলেও তা এখনও মজুদগারে ওঠানো যায়নি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিচ জানান,
“আমাদের একটি দল কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মজুদগারে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।”
ফলে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
দুজারিচ আরও বলেন, “এই ত্রাণ সমুদ্রের এক ফোঁটা জল মাত্র।” তিনি ইসরায়েলের নতুন শর্তকে ‘ভয়াবহ জটিলতা’ হিসেবেও অভিহিত করেন।
জাতিসংঘ বলছে, গাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০টি ত্রাণ ট্রাক দরকার।
জাতিসংঘের মানবিক প্রধান টম ফ্লেচার বিবিসিকে বলেন:
“পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সাহায্য না পৌঁছালে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।”
পরে পরিষ্কার করা হয়, এ সংখ্যা তাৎক্ষণিক নয়, বরং এক বছরের পূর্বাভাস।
জাতিসংঘের মতে, বর্তমানে গাজায় ১৪ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১১ সপ্তাহে অপুষ্টিজনিত কারণে কমপক্ষে ৫৭ শিশু মারা গেছে।
যুক্তরাজ্য বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ‘নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’। তারা ইতিমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে।
ইইউ-র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ইউরোপীয় বাণিজ্য চুক্তিও পুনর্বিবেচনায় রয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা এক যৌথ বিবৃতিতে সামরিক অভিযান বন্ধ ও অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্য কয়েকজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন:
“আমরা সন্তুষ্ট যে ইসরায়েল কিছু ত্রাণ প্রবেশ করতে দিয়েছে। তবে এটা যথেষ্ট নয়।”
📌 তথ্যসূত্র: বিবিসি