ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পর একটি “ব্রেকথ্রু” হিসেবে ধরা হচ্ছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধের এক জটিল পর্বের পর এই সমঝোতা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
বিরল খনিজের গুরুত্ব ও পটভূমি
বিরল খনিজ উপাদানগুলো আধুনিক প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রিক গাড়ি, এমনকি সামরিক বিমান তৈরিতেও এগুলোর ব্যবহার অপরিহার্য। চীন বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, ফলে তাদের সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
গত মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় দুই পক্ষ শুল্ক ও রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কমানোর বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছালেও, বাস্তবায়নের অভাব ছিল। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তোলে, চীন যথাযথভাবে রপ্তানি সীমাবদ্ধতা তুলছে না।
দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, “যেসব রপ্তানি আবেদন আইন অনুযায়ী শর্ত পূরণ করবে, সেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও চীনের ওপর আরোপ করা কিছু সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করবে।”
এ চুক্তির বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। জুন মাসে লন্ডনে হওয়া বৈঠকে এই সমঝোতার ভিত্তি স্থাপিত হয়।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চীনা শিক্ষার্থীদের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পুনরায় চালু করা হবে, যা সম্পর্ক উন্নয়নের আরেকটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।
বিশ্লেষণ: অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার চ্যালেঞ্জ
বিশ্ব রাজনীতিতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এখন সবচেয়ে নজরকাড়া বিষয়গুলোর একটি। এই সমঝোতা স্বল্পমেয়াদে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনলেও দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হতে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
#চীনযুক্তরাষ্ট্রচুক্তি
#বিরলখনিজ
#বাণিজ্যসংকট
#আন্তর্জাতিকরাজনীতি
#USAChinaDeal
#RareEarthMetals
#ট্রাম্পশি
#বাণিজ্যচুক্তি