“আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম” — ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি

চ্যানেল ১৩-কে দেওয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,

“আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সঠিক সামরিক সুযোগ তৈরি হয়নি।”

🔥 খামেনি আত্মগোপনে ছিলেন দাবি, তবে কোনো প্রমাণ মেলেনি

কাটজ দাবি করেন, খামেনি আগেই ইসরায়েলি পরিকল্পনার আভাস পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) নতুন কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

তবে এ দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ তথ্য নেই। যুদ্ধ চলাকালীন খামেনির একাধিক ভিডিও বার্তা প্রকাশ পেয়েছে এবং তিনি যে মাঠপর্যায়ের জেনারেলদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছিলেন—সেটির প্রমাণ মেলেনি।

🇮🇱 “আমেরিকার অনুমতির প্রয়োজন ছিল না” — কাটজ

প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন,

“এই অপারেশনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।”

এর মাধ্যমে তিনি সেই পূর্ববর্তী সংবাদ প্রতিবেদনগুলোকে খণ্ডন করেন, যেখানে বলা হয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্র খামেনিকে হত্যার প্রস্তাবে ‘না’ বলেছে।

📍 বিশ্ব রাজনীতিতে বড় পরিণতি হতে পারতো

খামেনি শুধু ইরানের শীর্ষ নেতা নন, বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের ধর্মীয় নেতা হিসেবেও বিবেচিত। তার হত্যাকাণ্ড ঘটলে এটি হতো এক বিরাট কূটনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কারণ।

🧭 ‘মেক ইরান গ্রেট এগেইন’?

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ “শাসনব্যবস্থা বদলের সুযোগ” এনে দিতে পারে।

গত রবিবার ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন:

“This war could make Iran great again.”

🚀 পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ফের হামলার হুমকি

কাটজ বলেন, যদি ইরান আবার পারমাণবিক কর্মসূচি পুনর্গঠনের চেষ্টা করে, তবে ইসরায়েল আবারো হামলা চালাতে প্রস্তুত এবং এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন।

তার ভাষায়:

“আমি এমন কোনো পরিস্থিতি কল্পনা করি না যেখানে ইরান আবার সেই স্থাপনাগুলো পুনরায় নির্মাণ করতে পারবে।”

🤝 নেতানিয়াহুর কূটনৈতিক অর্জনের দাবি

নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেন,

“ইরানের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছি, এটি আমাদের একটি কৌশলগত বিজয়। এর ফলে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও প্রসারিত হবে।”

তিনি আব্রাহাম অ্যাকর্ডস (২০২০)-এর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, যেখানে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো একাধিক আরব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

🆚 ইরানের পাল্টা দাবিও শক্তিশালী

অন্যদিকে, ইরানও নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। তারা দাবি করেছে—

• ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ছিল পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করা

• কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে

• ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে

• নেতানিয়াহুকে হামলা থামাতে বাধ্য করা হয়েছে

🏷️ 

#খামেনিহত্যাচেষ্টা #ইসরায়েলইরানযুদ্ধ #ইসরায়েলকাটজ #IranIsraelConflict #Geopolitics #NuclearTension #TrumpIran #NetanyahuSpeech #মধ্যপ্রাচ্যসংঘাত