ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে মোংলা কাস্টমস হাউসের সুন্দরবন সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় কাস্টমস, ভ্যাট ও কর কর্মকর্তাসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
“এখানে ব্যবসায়ীরা এলে সহজে সার্ভিস পাবে। ব্যবসায়ীরা যদি উপকৃত হন, তাহলে তারা যেন এ বন্দর বেশি ব্যবহার করে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মোংলা কাস্টমস হাউসের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো,” — বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি আরও জানান, গত তিন মাস বাজেট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখন ফিল্ড পর্যায়ে সমস্যা চিহ্নিত করতে সফর শুরু করেছেন। মোংলা বন্দর সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, এখানে কী পরিমাণ কাজ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে লোড গ্রহণে সক্ষমতা কতটুকু — এসবই যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে এ সফর।
চেয়ারম্যান বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহার ও চাপ অনেক বেশি। মোংলার ব্যবহার বাড়ালে চট্টগ্রামের যানজট কমবে, কার্যক্রম দ্রুত হবে এবং খরচ কমে আসবে। এর ফলে সাধারণ জনগণও উপকৃত হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “মোংলায় অনেক গাড়ি আসে। সব গাড়িই যদি মোংলায় ডাইভার্ট করা যায়, তাহলে পোর্ট কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। এজন্য গাড়ি ব্যবসায়ীদের সাথেও আলোচনা চলছে।”
এনবিআর চেয়ারম্যান সকালেই মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন।
সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, একান্ত সচিব আতাউল গনি ওসমানী এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।
উপস্থিত ছিলেন মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান, খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার এবং খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনাররাও।
#মোংলা_বন্দর #এনবিআর #জাতীয়_রাজস্ব_বোর্ড #আমদানি_রপ্তানি #কাস্টমস_হাউস #চেয়ারম্যান_সফর #বন্দর_উন্নয়ন #চট্টগ্রাম_বন্দর #বাণিজ্য