ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫
তবে আলোচনার জন্য তৃতীয় দফা বৈঠকের অনুরোধ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো তারিখ নিশ্চিত করা হয়নি, জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার সন্ধ্যায় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন:
“আমরা ইউএসটিআরকে তৃতীয় বৈঠকের সময় দেওয়ার অনুরোধ করেছি। এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।”
যুক্তরাষ্ট্রের অ-বাণিজ্যিক শর্ত—যেমন পরিবেশ সংরক্ষণ, শ্রম অধিকার ইত্যাদি—বাস্তবায়নে ৫ থেকে ১০ বছর সময় চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে, যাতে বাংলাদেশ নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।
২১ জুলাই বিকেলে বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন:
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান
এরপর আজ সকালে খসড়াটি চূড়ান্ত করে ই-মেইলের মাধ্যমে ইউএসটিআরের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। এই চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন—চুক্তি না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে পারস্পরিক শুল্কহার কার্যকর হবে।
একজন অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা বলেন:
“যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কিছু অ-বাণিজ্যিক শর্ত বাংলাদেশ সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করে সময় চেয়ে কৌশল নিয়েছে। কোথাও ৫ বছর, কোথাও ১০ বছরের অনুরোধ রাখা হয়েছে।”
প্রশ্ন উঠেছে—ইন্দোনেশিয়া লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে শুল্কহার ৩২% থেকে ১৯%-এ নামিয়ে আনলেও বাংলাদেশ কেন পারেনি?
এক কর্মকর্তা বলেন:
“বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের এমন কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে Non-Disclosure Agreement (NDA) সই হয়েছে। তাই দ্রুত লবিস্টের মাধ্যমে সুবিধা আদায় বাস্তবসম্মত নয়।”
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ আলোচনাকে জিইয়ে রেখে কৌশলগত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে, যা বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তবে এ ধরনের বিলম্বে রপ্তানি খাত অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে।
📩 খসড়া জমা: ২২ জুলাই, ইউএসটিআর অফিসে
🤝 আলোচনার অনুরোধ: পাঠানো হলেও তারিখ অনিশ্চিত
📝 শর্তগুলোর জন্য সময়: ৫–১০ বছর
🔒 গোপনীয়তা বাধ্যতামূলক: NDA সই
📉 শুল্কহার কমাতে আশাবাদ
🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি
#বাংলাদেশযুক্তরাষ্ট্রশুল্কচুক্তি #BangladeshUSTrade #ReciprocalTariffAgreement #বাংলাদেশব্যবসা #শুল্কছাড় #বাণিজ্যচুক্তি #USTR #TariffNegotiation