ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ট্রাম্প বলেন, "আমরা একটি সরল ও কার্যকর শুল্ক কাঠামো চাই। হার থাকবে ১৫ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে।" কিছু দেশের জন্য শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই অবস্থান মূলত তার প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্যনীতির প্রতিফলন। বিশেষ করে, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে কিংবা রাজনৈতিক টানাপড়েন চলছে, তাদের ওপর এই শুল্কব্যবস্থা প্রভাব ফেলবে।
এর আগেও, জুলাইয়ের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশকে শুল্ক সংক্রান্ত চিঠি পাঠাবেন। সে সময় হার হতে পারে "সম্ভবত ১০ অথবা ১৫ শতাংশ"—এই মন্তব্য থাকলেও এবার স্পষ্টভাবে ১৫ শতাংশকে সর্বনিম্ন বলা হয়েছে।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় এবং আফ্রিকার ছোট দেশগুলোর জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ শতাংশ হার প্রযোজ্য হবে। তবে ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, মূল কাঠামো এখন ১৫ শতাংশ থেকে শুরু।
ট্রাম্প বর্তমানে এই শুল্ক চিঠিগুলোকেই ‘চুক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করছেন, যার মাধ্যমে তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বাইরেও একতরফাভাবে নীতি প্রয়োগ করতে চান। যদিও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে দরজা খোলা থাকবে—যদি দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
জাপান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের ওপরের ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হবে, বিনিময়ে জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনাকে ট্রাম্প ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন।
#যুক্তরাষ্ট্র #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #শুল্কনীতি #বিশ্ববাণিজ্য #জাপান #ইইউ #শুল্কহার #মার্কিন_নীতি #ট্রাম্প_ঘোষণা #ব্লুমবার্গ #হাওয়ার্ড_লুটনিক #এআই_সম্মেলন #TradePolicy #TariffUpdate #TrumpSpeech