ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৫ এএম
আপডেট: মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার দীর্ঘকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হারান। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা—যিনি পূর্বে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন—তাঁর নেতৃত্বেই বিদ্রোহীরা আসাদকে অপসারণ করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে সিরিয়ার সরকারি প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক কাঠামো পুনর্গঠনে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। তবে আইএস, ইরান ও বাশার আল-আসাদ সংশ্লিষ্ট যেসব ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা বহাল থাকবে।
ট্রাম্পের বিবৃতিতে বলা হয়:
“যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি সিরিয়াকে সমর্থন করে যেটি শান্তিপূর্ণ, ঐক্যবদ্ধ এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে।”
সিজার অ্যাক্টের অধীন নিষেধাজ্ঞা মূল্যায়নাধীন:
ট্রাম্প সরকারি সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন—সিজার অ্যাক্টের আওতায় যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল, সেগুলো শিথিল করার আগে সংশ্লিষ্ট সব শর্ত পূরণ হয়েছে কি না তা পর্যালোচনা করতে।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে একদল আইনপ্রণেতা—ডেমোক্র্যাট ইলহান ওমর ও রিপাবলিকান আনা পলিনা লুনা—একটি বিল উত্থাপন করেছেন, যা ভবিষ্যতে সিরিয়ার ওপর থেকে স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আইনি ভিত্তি দিতে পারে।
আল-নুসরা ফ্রন্টের সাবেক নেতা, বর্তমানে হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বদানকারী আল-শারা, পূর্বে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তিনি এখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, সাম্প্রতিক সময়ে আলাউতি সম্প্রদায়ের ওপর বিদ্রোহীদের সহিংসতা উদ্বেগজনক।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আল-শারার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার সিরিয়াকে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে এটি মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে।
#Syria #Trump #Sanctions #MiddleEastPolitics #BasharAlAssad #AhmedAlShara #USForeignPolicy #HTS #CeasarAct #GlobalNews #ArabWorld