ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৩ এএম
আপডেট: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৩ এএম
ব্রাজিলের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে গৃহবন্দি করার ঘটনায়। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে দে মোরাইস সোমবার এই আদেশ দেন। অভিযোগ, বলসোনারো আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মামলায় হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করেছিলেন।
গৃহবন্দির এই আদেশ এমন এক সময় এল, যখন বলসোনারোর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার শুরু হওয়ার কথা। তিনি ওই নির্বাচনে লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন।
বিচারপতি মোরাইস বলছেন, বলসোনারো আদালতের আদেশ বারবার অমান্য করেছেন এবং দেশে গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছেন। তবে বলসোনারোর আইনজীবীরা এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
আদেশ অনুযায়ী, বলসোনারো:
মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না
কেবলমাত্র আইনজীবী ও আদালতের অনুমোদিত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ তার বাসায় গিয়ে তাকে গৃহবন্দি করে এবং মোবাইল ফোন জব্দ করে।
বলসোনারোর প্রতি ট্রাম্পের সমর্থন আগেই জানা ছিল। এবার তিনি এক বিবৃতিতে বলেন:
"আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত এই অবিচার দেখে আমি হতবাক। এই বিচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত!"
এছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিচারপতি মোরাইসের পদক্ষেপকে "গণতন্ত্রবিরোধী" বলে আখ্যা দিয়ে সহযোগীদের জবাবদিহির আওতায় আনার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন বলসোনারোর মামলার প্রতিবাদে ব্রাজিলীয় পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। বলসোনারোর ছেলে এডুয়ার্দো বলসোনারো অভিযোগ করেছেন, এই পদক্ষেপ বিচারপতির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বিচারপতি মোরাইসকে তিনি "স্বৈরাচারী" বলে আখ্যা দেন।
গত রোববার রিও ডি জেনেইরোতে তার সমর্থকদের বিক্ষোভ ছিল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
বলসোনারো সেখানে সরাসরি না গিয়ে ভিডিও কলে অংশ নেন, যা অনেকেই আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের আরেকটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ব্রাসিলিয়ায় সংঘটিত নির্বাচন-অস্বীকারকারী দাঙ্গার পর থেকেই বলসোনারোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এরই মধ্যে ব্রাজিলের নির্বাচনী আদালত তাকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে।
#Bolsonaro #BrazilPolitics #HouseArrest #JairBolsonaro #Trump #BrazilProtests #Morais #USSanctions #InternationalPolitics #Democracy