ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
সোমবার (৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্যানেলের সামনে এই স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।
জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে পঙ্গু হওয়া ইমরান তার জবানবন্দিতে জানান, তিনি আজীবন চলতে পারবেন না স্বাভাবিকভাবে। আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তার চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তার কণ্ঠে ক্ষোভ, কষ্ট ও ন্যায়বিচারের আকুতি ছিল স্পষ্ট।
রবিবার (৩ আগস্ট) এই মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন খোকন চন্দ্র বর্মণ (২৩)। তিনি জানান,
“যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর পুলিশ পাখির মতো গুলি করে। যাকে যেখানে পায়, গুলি করে।”
খোকনের শরীরে গুলি লাগে চোখ, মুখ ও নাক বরাবর। তিনি মুখমণ্ডলের ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন দেখানোর জন্য ট্রাইব্যুনালে মাস্ক খুলে তার মুখ প্রদর্শন করেন।
খোকন বলেন:
“শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি ও শামীম ওসমান— এদের বিচার চাই। বিচার হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।”
মুগদা জেনারেল হাসপাতাল →
ঢাকা মেডিকেল কলেজ →
মিরপুর ডেন্টাল কলেজ →
বার্ন ইনস্টিটিউট →
চিকিৎসা শেষে পাঠানো হয় রাশিয়া
খোকনের মতে, “রক্তপাত ছিল গরু জবাইয়ের মতো ভয়াবহ।”
মামলার সূচনা বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলামের বক্তব্যে উঠে আসে মানবতাবিরোধী অপরাধের ভয়াবহ চিত্র
বিচারকার্য সরাসরি সম্প্রচার করা হলেও, সাক্ষীদের নিরাপত্তার কারণে জবানবন্দি সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়
মামলার আসামিরা: শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
অভিযোগ: মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যার ইন্ধন ও বাস্তবায়নে ভূমিকা
বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ
#আন্তর্জাতিক_অপরাধ_ট্রাইব্যুনাল #শেখ_হাসিনা #জুলাই_আন্দোলন #মানবতাবিরোধী_অপরাধ #খোকন_চন্দ্র #আব্দুল্লাহ_ইমরান #বাংলাদেশ_বিচার