ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই আলোচনার সূচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় কমিশনের সদস্যরা প্রথম দফা আলোচনার অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এর আগে গত ১৯ মে প্রথম দফার আলোচনা শেষে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনকে ঘিরে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভোটারদের সচেতন করতে হবে যেন কেউ ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে না পারে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এত বড় একটি অভ্যুত্থানের পর যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছিলাম, সেটা যেন আবার অতীতের ভুলে না ফিরে যায়।”
সভায় বিভিন্ন সদস্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগ তুলে ধরেন। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, অতীতে নির্বাচনী অনিয়মে জড়িতদের তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যেই ঐকমত্য তৈরি হয়েছে।
কমিশন সদস্য আইয়ুব মিয়া প্রশাসনিক কাঠামোতে আমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “১৯৮২ সালের এনাম কমিশনের অরগানোগ্রাম এখনো বহাল রয়েছে। বাস্তবতা বদলে গেছে। এখন সময় এসেছে জনপ্রশাসন সংস্কার বাস্তবায়ন কমিশন গঠনের।”
বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি এমদাদুল হক সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যম, শ্রম, নারী ও স্বাস্থ্য খাতে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া অধ্যাদেশ পুনরায় প্রকাশের প্রস্তাব করেন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি সফর রাজ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে মতামত দেন।
প্রধান উপদেষ্টা সভায় নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রজন্ম এবং তৃণমূল সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনসম্পৃক্ততা ও জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও সংলাপের পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি, একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
📌 আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন – রাজনীতি, সংস্কার ও নির্বাচনী বিষয়ক সর্বশেষ খবরের জন্য।