ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজের অফিসে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আন্দোলনের ঘটনাগুলো বর্ণনা করেন। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ওই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন করছে এবং এই আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতিতে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।
ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের ‘ক্ষুব্ধ নারী সমাজ’ প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, শ্রমিক ও নারী অধিকার কর্মীরা একত্রিত হয়েছিল। আমরা প্রেস কনফারেন্স করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাই।”
তিনি স্মরণ করেন, আন্দোলনের সময় পুলিশি নিপীড়ন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ রোডে সমাবেশকালে তাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং অনেক কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসা ও তাদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের সঙ্গে ছিলেন সাধারণ জনগণ, রিকশাচালক, হকার শ্রমিকেরা, যারা এই আন্দোলনের মাটি কামড়ে লড়াই করেছিল। একসময় আমরা রিকশাতেই চলাফেরা করতাম তাদের কথা শোনার জন্য। আমি মনে করি, বাংলাদেশের ইতিহাসে রিকশাওয়ালাদেরও আলাদা এক অধ্যায় থাকা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের সময়ে তিনি শহীদ মিনারে গিয়ে স্কুলছাত্রীদের উপস্থিতি দেখে অনুপ্রাণিত হন। বাবা-মাও তাদের সন্তানদের সঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে সক্রিয় ছিল, যা দেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে তার প্রমাণ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আহত কর্মীদের পাশে থাকার এবং তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
#জুলাইগণঅভ্যুত্থান #ক্ষুব্ধনারীসমাজ #ফরিদাআখতার #মৎস্যউপদেষ্টা #বাংলাদেশআন্দোলন #শহীদজয়ন্তী #অধিকার #গণতন্ত্র #বাংলাদেশসংবাদ