ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
আপডেট: বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
বুধবার (৩০ জুলাই) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন,
“বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য অনুযায়ী সমতল ও উপকূলীয় অঞ্চলের হিউম্যান রিসার্চের প্রতি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। আমাদের দেশে এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গবেষকেরও ঘাটতি রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“এই গবেষণা আমাদের দেশের শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের স্নায়ু বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতার প্রকৃত চিত্র, কারণ ও করণীয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে।”
শারমীন এস মুরশিদ জানান,
“বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা নিয়ে এখনো সামাজিক বাধা রয়েছে। তবে আজকের গবেষণা দেখায়, প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও সামাজিক সহায়তা একত্রে একটি শিশুর জীবন পরিবর্তন করতে পারে।”
তিনি সংবিধান, শিশু নীতি ও প্রতিবন্ধী অধিকার আইনের উদাহরণ দিয়ে বলেন,
“প্রতিটি শিশুর—প্রতিবন্ধী হোক বা না হোক—পূর্ণ মর্যাদা ও সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে।”
উপদেষ্টা বলেন,
“এই গবেষণার ফলাফল স্কুলব্যবস্থা, থেরাপি সেবা এবং পরিবারভিত্তিক সহায়তা কাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
তিনি সংশ্লিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক ও মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন,
“এই উদ্যোগ স্নায়ু বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আফসান ইন্টারন্যাশনালের চিফ এক্সিকিউটিভ মাহমুদ হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন:
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর তানভীর হাসান
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মলয় কান্তি মৃধা
আফসান ইন্টারন্যাশনালের ট্রাস্টি ড. মোসাদ্দেক আহমেদ চৌধুরী
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষক, চিকিৎসক, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।