ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
আপডেট: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : অভিযোগ ও স্ব-নিয়ন্ত্রণ অন্বেষণ’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে ড. রীয়াজ বলেন,
“গত ১৬ বছর ধরে যে পরিস্থিতি আপনারা মোকাবেলা করেছেন, সেখানে সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কিংবা সিভিল সোসাইটির সঙ্গে মিলে কেন কোনো বিশ্লেষণ বা রিভিউ হয়নি?”
তিনি অভিযোগ করেন, সাংবাদিকতার নাম করে অনেকে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করছেন।
“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন—আপনি সাংবাদিক, নাকি রাজনীতিবিদ?”
তিনি এক বছর আগে 'জুলাই আন্দোলনের সময়' সাবেক প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত সাংবাদিকদের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,
“সেখানে যারা ছিলেন, তারা কে কী বলেছিলেন, সেটা জানেন। সেটি কি সাংবাদিকতা? না রাজনৈতিক আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ?”
বাংলাদেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দলীয় বিভাজন নিয়েও সরব ছিলেন আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন,
“বিএফইউজে, ডিইউজে—সব সংগঠন এখন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। এরপরও যদি সাংবাদিকতার জন্য অন্যদের কাছে দাবি তোলা হয়, তাহলে নিজেদের দিকটাও দেখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“সম্পাদক পরিষদের একটি বিকল্প গড়ে তোলা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি।”
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও টক শো ‘তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন:
বাসস প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ
গণফোরাম প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এস এম শামীম রেজা
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা
ঢাকা ট্রিবিউনের এক্সিকিউটিভ এডিটর রিয়াজ আহমেদ
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ রেজাওয়ানুল হক রাজা
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক কাজী জেসিন প্রমুখ।
#আলী_রীয়াজ #জাতীয়_ঐকমত্য_কমিশন #গণমাধ্যম_স্বাধীনতা #সাংবাদিকতা #বাংলাদেশ_রাজনীতি #সিজিএস #তৃতীয়_মাত্রা #মতপ্রকাশ_স্বাধীনতা #মিডিয়া_রাজনীতি #সাংবাদিক_বিভাজন