ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৩ এএম
আপডেট: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৩ এএম
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি সমুদ্রসম্পদ ও উপকূলীয় উন্নয়ন নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস বলেন, “বঙ্গোপসাগরের অংশটি আমাদের দেশের একটি বিশাল সম্পদ, যা আমাদের জমির পরিমাণের চাইতেও বড়। অথচ, জমি নিয়ে আমরা যেভাবে ভাবি, পানিভিত্তিক অর্ধেক দেশটিকে তেমন গুরুত্ব দিই না—শুধু বসবাস না করার কারণে।”
তিনি বলেন, “এখন থেকে বঙ্গোপসাগরকে আমরা আমাদের দেশের সম্পদ হিসেবে ভাবব। এর মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশ নেব, সমুদ্র আমাদের প্রতিবেশী করে তুলবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে।”
🔹 সমুদ্রের অফুরন্ত সম্পদ ও সম্ভাবনা
ভাষণে তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গোপসাগরে রয়েছে অফুরন্ত মৎস্য ও গ্যাস সম্পদ। এটি প্রতি বছর ফসল দেয়—তবে সেই ফসল জলে, কৃষিজমিতে নয়।
ড. ইউনূস বলেন, “এই সম্পদকে ঘিরে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। আমরা গভীর সমুদ্রকে এখনও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। মাছ পালন, আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তুলতে কাজ শুরু হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এ খাতে।”
🔹 চট্টগ্রাম বন্দরে ইতিবাচক পরিবর্তন
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “নিউ মুরিং টার্মিনালের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে থাকা ড্রাই ডক লিমিটেডকে। শুরুতেই দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ২২৫টি বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। এ বন্দর শুধু বাংলাদেশের নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
🔹 দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র হবে উপকূল
ড. ইউনূস কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে ‘দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন।
তিনি বলেন, “শুধু সমুদ্রের সান্নিধ্য আর ব্যবহারের দক্ষতার কারণেই এখানে অনেকগুলো শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। ইতোমধ্যেই বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে—টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ রক্ষায় তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে।”