ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
আপডেট: শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর শুক্রবার (১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ায় চাহিদাপত্র বা ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ লক্ষ্যে এফডব্লিউসিএমএস (FWCMS) পোর্টালে নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী নথিপত্র দাখিল করতে হবে।
🔍 জমা দিতে হবে যে নথিপত্রগুলো:
অনুমোদনপত্র (ম্যানেজার বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তার)
ব্যাংক স্লিপ (সত্যায়ন ফি জমা)
কর্মীদের বেতন স্লিপ
কোম্পানির প্রোফাইল, কর্মীর সংখ্যা, মোবাইল নম্বর
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (২ লাখ রিংগিত ব্যালেন্স ১০০ কর্মীর জন্য)
সকসো ও হাসপাতাল স্কিম দলিল
আবাসন সনদ, নির্মাণ চুক্তিপত্র, গ্যারান্টি লেটার
নিয়োগপত্র, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি, কোটার অনুমোদন ইত্যাদি
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা স্মারক (MoU) অনুযায়ী কর্মী পাঠানো আবার শুরু হতে পারে।
🔒 মালয়েশিয়া সরকার চাইছে—
“সিলেক্টিভ রিক্রুটমেন্ট” মডেল, যাতে কেবল সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নেওয়া হবে
স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, দালাল-মুক্ত নিয়োগ
বাংলাদেশ সরকারও এই প্রক্রিয়ায় কিছু সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে।
বায়রার একজন শীর্ষ নেতা বলেন:
“আমরা চাই স্বচ্ছ ও বৈধ অভিবাসন। কর্মী প্রতি খরচ নির্ধারণ, মেডিকেল-ভিসা প্রসেসিং সময় নির্ধারণ, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের যাচাই বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছি।”
একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা জানান,
“বাংলাদেশ সরকার শর্তসাপেক্ষে মালয়েশিয়ায় নিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে কুয়ালালামপুরে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে।”
বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন:
“শুধু সমঝোতা নয়, বাস্তবায়ন পর্যায়ে দুর্নীতি রোধ না হলে শ্রম বাজার আবারও বন্ধ হয়ে যাবে।”
২০১২ ও ২০২২ সালের মতো এবারও যেন ‘কোটা বাণিজ্য’ ও ‘দালালচক্র’ নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলছেন তারা।
📉 উল্লেখযোগ্য তথ্য:
২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় ৫ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অনিয়ম ও কোটা বিতর্কে সেই উদ্যোগ স্থগিত হয়ে যায়।