ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন,
"বাংলাদেশ গত আট বছর ধরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতার ফলে এটি এখন আর শুধু মানবিক সংকট নয়—এটি অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা ইস্যু।"
🔹 রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন:
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।
🔹 তরুণদের ভূমিকায় গুরুত্ব:
তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ বারবার ঐতিহাসিক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিয়েছে—৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক গণআন্দোলন পর্যন্ত।
তিনি সতর্ক করেন,
"তরুণরা যদি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তারা সহজেই চরমপন্থার দিকে ঝুঁকতে পারে।"
🔹 দারিদ্র্য ও বৈষম্যের প্রভাব:
উন্নয়ন ঘাটতি ও রাজনৈতিক অসাম্য যদি দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকে, তাহলে তা সহিংসতা ও অস্থিরতায় রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেন উপদেষ্টা।
🔹 'তিন শূন্য' নীতির প্রসঙ্গ:
তিনি শান্তির জন্য প্রয়াত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, এবং শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ—এই তিন শূন্য নীতির কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন,
“উন্নয়ন ও শান্তি বিনির্মাণের প্রচেষ্টাকে একত্রিত করতে হবে।”
নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে বাংলাদেশ ছাড়াও সুইডেন, উরুগুয়ে, পূর্ব তিমুর, জার্মানিসহ একাধিক দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও বৈষম্য হ্রাসের বিষয়গুলো নিয়ে মতবিনিময় করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউনূস প্রবর্তিত সামাজিক ব্যবসার মডেলকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কার্যকর মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,
“দারিদ্র্য বিমোচন ও সংঘাত প্রতিরোধে সামাজিক ব্যবসা একটি টেকসই পথ হতে পারে।”
“একটি ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
#RohingyaCrisis #BangladeshUN #RegionalSecurity #TouhidHossain #UNSecurityCouncil #YouthEmpowerment #SocialBusiness #MuhammadYunus #PeaceAndDevelopment #RohingyaRepatriation