ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
তিনি এসব কথা বলেন বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম ‘নিক্কেই ফোরাম: এশিয়ার ভবিষ্যৎ’ সম্মেলনের তৃতীয় দিনের অধিবেশনে।
ড. ইউনূস বলেন,
“আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের সুরক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা।
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,
“ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে কি-না, তা নির্ভর করছে কতটুকু সংস্কার সম্পন্ন হয়, তার ওপর। ডিসেম্বরে ভোট দিতে গেলে সংস্কারে তাড়াহুড়ো করতে হবে। বরং ভালোভাবে সংস্কারের জন্য আরও ৬ মাস সময় প্রয়োজন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ডিসেম্বর থেকে জুন—এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে জনগণের আস্থা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে শুধু তারিখ ধরেই নির্বাচন করা অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য নয়।”
বক্তব্যে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন,
“অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ।”
এশিয়ার বৃহত্তর বাস্তবতায় শান্তি ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন,
“আঞ্চলিক ভবিষ্যৎ শুধু জিডিপির বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে না। এটি গড়ে উঠবে মানুষের কল্যাণ, পারস্পরিক আস্থা এবং সাহসিকতার ভিত্তিতে।”
ড. ইউনূস তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন। তার ভাষায়,
“তরুণদের এখন আর শুধু চাকরির পেছনে ছোটার সময় নয়। নিজে কিছু শুরু করার সাহসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিই নতুন এশিয়া গঠনের মূল চাবিকাঠি।”
নিক্কেই ইনকরপোরেটেড আয়োজিত ‘নিক্কেই ফোরাম: এশিয়ার ভবিষ্যৎ’ সম্মেলনটি এশিয়ার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্বের এক বড় প্ল্যাটফর্ম। এ বছরের আয়োজনে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে রাষ্ট্রপ্রধান, নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ এবং উদ্যোক্তারা অংশ নিচ্ছেন।
ড. ইউনূসের মতো বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণে এ বছরের ফোরাম আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও কূটনৈতিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।