ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
তৌরিতে তিনি উল্লেখ করেন, ইউসুফ, গুম-খুন বা গোপনে তুলে আনার মতো কার্যক্রম দপ্তরের বাইরেও র্যাব পরিচালনা করে এবং বেশিরভাগ সময় নিজের আইজিপি পদে থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়ে অবহিত ছিলেন না।
আইজিপি আল‑মামুন আরও বলেছেন,
“ব্যারিস্টার আরমানটি টিএফআই সেলে বন্দি আছেন, আমি সেই তথ্য জানতাম; তবে তাকে আমি সরাসরি তুলে আনিনি।”
তিনি জানান, উক্ত আটকের ব্যাপারে কর্পোরেট সিদ্ধান্ত ছিল এবং পরে এ বিষয়ে সরকারের অনুমোদন ছিল ।
গুরুত্বপূর্ণ যে, জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছিলেন,
“এই গুম ও আটক সম্পর্কিত প্রায়শই নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকির মাধ্যমে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেওয়া হতো, যা পুলিশ আইজিপিকে জানানো হতো না।”
এ সত্য নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন সময়ের র্যাব পরিচালক ও অন্যান্য গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ভূমিকা সম্পর্কে ।
আইজিপি আল-মামুন উল্লেখ করেছেন যে,
র্যাবের বেশিরভাগ অভিযান চেইন অব কমান্ড মানত না,
র্যাব (ইন্টেলিজেন্স উইং) এর অনেক পরিচালক গোপনভাবে বিমুখ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন,
তিনি র্যাবের দায়িত্ব পালনকালে এসব বিষয় জানালেও কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিতে পারেননি,
কারণ এই আদেশগুলো আসত অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক উপদেষ্টার মাধ্যমে।
সাবেক আইজিপি আল‑মামুন ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষীয় সাক্ষী (state witness) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন, যা ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুযায়ী Conditional Pardon-এর সম্ভাবনা তৈরি করে।
দুটি তথ্যসূত্রে বলা হয়েছে, তিনি পূর্ণ সত্য উন্মোচনের ভিত্তিতে ICT-1 কর্তৃক শর্তসাপেক্ষ মওকুপ্রাপ্তি পেতে পারেন।
এছাড়াও, The Daily Star ও The Business Standard-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি আদালতে স্বীকার করেছেন যে জুলাই–অগাস্ট ২০২৪ সময়কালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগ সত্য এবং তিনি সাক্ষী হিসেবে আদালতকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।