ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার আগে এই উদ্যোগ নেয় মস্কো। কিন্তু তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের প্রশ্নে কোনও ধরনের ছাড় দিতে নারাজ।
পুতিনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল:
ইরানের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রাশিয়া সরিয়ে নেবে
এর পরিবর্তে ৩.৬৭% ইউরেনিয়াম (বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য) এবং ২০% ইউরেনিয়াম (গবেষণার জন্য) সরবরাহ করবে রাশিয়া
তবে সেই প্রস্তাবও ইরানের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় প্রত্যাখ্যান করে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি শনিবার এক কূটনৈতিক বৈঠকে বলেন,
“আমরা আলোচনার জন্য সবসময় প্রস্তুত। তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাদ দিয়ে কোনও আলোচনা হবে না।”
তিনি আরও বলেন,
“কেউ যেন এই আলোচনাকে যুদ্ধের অজুহাতে পরিণত না করে— সেটি নিশ্চিত করেই আমরা এগোবো।”
আরাঘচি স্পষ্ট করেন,
“ইরানের সামরিক ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা কখনোই আলোচনার বিষয় হবে না।”
তিনি জানান, আইএইএ-র (আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা) সঙ্গে ইরান সহযোগিতা চালিয়ে যাবে, তবে তা 'কেস-বাই-কেস' ভিত্তিতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে।
ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন:
“জুনের হামলায় ইরানের পরমাণু কাঠামো ভেঙে গেছে। খামেনি যদি সমৃদ্ধকরণের স্বপ্ন না ছাড়েন, তবে আরও বড় হামলা আসবে।”
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও সতর্ক করে বলেন,
“ইরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ না করে, তবে কোনও কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়।”
অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পর মস্কো এখন ইরানকে নিয়ে কিছুটা সংযত অবস্থানে। প্রকাশ্যে সমর্থনের বদলে চুক্তিমূলক নিয়ন্ত্রণের কথাই বেশি বলছে রাশিয়া।
#IranNuclearDeal #RussiaIran #PutinProposal #UraniumEnrichment #MiddleEastTensions #IsraelIranConflict #TehranRejectsDeal #IAEA #Geopolitics #NuclearDiplomacy