ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫
যেখানে ইসরায়েলের হামলায় ৯০০’র বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে, সেখানে রেজা পাহলভি কোনো নিন্দা না জানিয়ে ইসরায়েলকে 'সমর্থন' জানান।
এই অবস্থান নিয়ে প্রবল সমালোচনা করছেন বিশ্লেষক, মানবাধিকারকর্মী এবং ইরানি প্রবাসীরাও।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষক ত্রিতা পার্সি বলেন,
“তিনি যখন ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইছিলেন, তখন তারা বেসামরিক ভবনে হামলা চালাচ্ছিল। তিনি শুধু নিজের নয়, তার বাবার নামও কলুষিত করেছেন।”
রেজা পাহলভি ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের সময় মাত্র ১৭ বছর বয়সে আমেরিকায় নির্বাসনে যান
এরপর থেকে আর দেশে ফেরেননি
বর্তমানে ওয়াশিংটনে বসবাস করেন
এখন গণতান্ত্রিক ইরান চান বললেও, বাস্তবে নেতৃত্বের দৌড়ে নিজেকে জোর করে এগিয়ে রাখতে চেয়েছেন
মানবাধিকারকর্মী হামেদ এস্মাইলিয়ন অভিযোগ করেছেন,
“পাহলভি জোটে নেতৃত্ব চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত ছিলেন না।”
২০২৩ সালে ইসরায়েল সফরে গিয়ে পাহলভি ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান ওয়েস্টার্ন ওয়াল-এ গেলেও মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শনে যাননি।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল ইরানিদের ধর্মীয় অনুভূতির অবহেলা—যার ফলে তার প্রতি মানুষের আস্থা আরও কমেছে।
সিনা তুসসি বলেন,
“রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের ইসরায়েল ঘনিষ্ঠতা এখন এতটাই স্পষ্ট যে, কেউ এটিকে অস্বীকার করতে পারে না। ইসরায়েল শুধু রাজনৈতিক কাজে তার মুখ ব্যবহার করছে।”
ত্রিতা পার্সির ভাষায়,
“ইসরায়েল চায় ইরানিদের এই বার্তা দিতে—তোমরাও আমাদের হামলা চাও। রেজা পাহলভি সেই ব্যবস্থার মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন।”
ব্রিটিশ-ইরানি তরুণী ইয়াসমিন বলেন,
“তিনি আমাদের বলেছিলেন বিদ্রোহ করতে—যখন দেশ যুদ্ধের মুখে। অর্থাৎ নিজে নিরাপদে থেকে আমাদের বিপদে ফেলতে চাচ্ছেন।”
#RezaPahlavi #IranIsraelConflict #IranPolitics #IranOpposition #IranianMonarchy #MiddleEastTensions #ExiledLeaders #PahlaviCriticism