স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং WEU-এর পক্ষে সই করেন সংস্থাটির সভাপতি নেজমেদ্দিন বিলাল এরদোগান, যিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সন্তান।
এমওইউ স্বাক্ষরের আগে এক আন্তরিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় প্রতিনিধি ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার গুরুত্ব, জাতীয় পরিচয় বিকাশ এবং সাংস্কৃতিক মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা করেন।
বিলাল এরদোয়ান বাংলাদেশের কাবাডি, বলিখেলা, কুস্তি ও নৌকা বাইচের মতো দেশীয় খেলাগুলোর আন্তর্জাতিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং এসব খেলাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, বিনিময় কর্মসূচি এবং বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তাব দেন বিলাল এরদোয়ান। তাছাড়া, তার সংগঠনের একটি স্কুল বাংলাদেশে স্থাপনেরও আগ্রহ জানান তিনি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঐতিহ্যবাহী খেলা আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, এতে শরণার্থীদের মানসিক স্বস্তি বাড়বে।
আসিফ মাহমুদ বলেন,
"২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান দেশের তরুণদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সচেতনতা বাড়িয়েছে। এখন সময় এসেছে সেই জাগরণকে বৈশ্বিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার। তুরস্ক আমাদের এ যাত্রায় বিশ্বস্ত মিত্র।"
তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থানকে "নৈতিক নেতৃত্বের অনন্য উদাহরণ" বলে উল্লেখ করেন।
বৈঠকের শেষে আসিফ মাহমুদ ২০২৫ সালের গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য বিলাল এরদোয়ানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
#বাংলাদেশ #ঐতিহ্যবাহী_খেলা #YouthAndSports #Ethnosports #BanglaSports #TurkiyeBangladeshRelations #Kabaddi #CulturalExchange #GlobalYouthSummit