ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫
আজ শনিবার ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারের বিষয় ছিল—‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫: কতটুকু সুরক্ষা দেয়?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন,
“সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে কিছু সংশোধন করা হলেও মূল সমস্যাগুলো থেকে গেছে। যাঁরা আগে শাস্তি পেয়েছেন, তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু একই অপরাধ আবার নতুনভাবে সাজা দেওয়ার পথ রাখা হয়েছে। এটা অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর।”
তিনি আরও বলেন,
“আইনের অপব্যবহারকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে না পারলে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না।”
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন,
“অধ্যাদেশের ৩৫ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ রাখা হয়েছে, যা পুলিশকে অপরিসীম ক্ষমতা দেয়। সরকার বলছে এটি ‘সংকুচিত’ করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে পুলিশ আইনের সীমায় থাকে না।”
তিনি আরও বলেন,
“নূরুল হুদার বাড়িতে যেভাবে মব হামলা হয়েছে, তা বিচার ব্যবস্থার বদলে গণপিটুনির সংস্কৃতি চালু করছে। এভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না।”
ভয়েস ফর রিফর্মের সহসমন্বয়ক ফাহিম মাশরুর বলেন,
“অধ্যাদেশে গোপন ডেটায় বেআইনি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পূর্বে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতেই এই অনধিকার প্রবেশ হয়েছে। এনটিএমসি বা গোয়েন্দা সংস্থা বহুবার ফোনকল ফাঁস করেছে। এই অপব্যবহার নতুন আইনে রোধ করা যায়নি।”
বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক, বাসদ
নাজমুল হক প্রধান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাসদ
দিদারুল ভূঁইয়া, অর্থ সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
শহীদুল্লাহ কায়সার, সাধারণ সম্পাদক, নাগরিক ঐক্য
আকরাম হুসাইন, প্রধান সমন্বয়ক, এনসিপি (ঢাকা মহানগর উত্তর)
সাকিব আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক, নাগরিক ঐক্য (মূল প্রবন্ধ পাঠ)
#সাইবারসুরক্ষা #নজরুলইসলামখান #মান্না #আইনেরঅস্পষ্টতা #মব_কালচার #নাগরিক_ঐক্য #বিএনপি #বাসদ #জাসদ #সংবিধান