ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা একযোগে জানান, ‘সব পদ থেকে অব্যাহতি’ ঘোষণা অবৈধ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে উদ্ভূত। তাঁরা দাবি করেন, তারা এখনও স্বপদে বহাল আছেন।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম বলেন,
“মনোনয়ন ফরম বিক্রির আড়াই কোটি টাকার হিসাব দেননি জি এম কাদের। দলের তহবিলে আসা চাঁদা ও অনুদানেরও হিসাব নেই। গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
চুন্নু অভিযোগ করেন,
“প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন— এমন কী অপরাধ করেছি? আমি মহাসচিব থেকে অব্যাহতি নিতে রাজি, কিন্তু দল থেকে বের করে দেওয়ার এখতিয়ার নেই তার।”
তারা দাবি করেন, মহাসচিব হিসেবে চুন্নুর অজ্ঞাতে প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকা হয়, যেখানে কোরাম ছিল না। ফলে সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ।
একইসঙ্গে গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারা— যার মাধ্যমে চেয়ারম্যান যেকোনো সদস্যকে বহিষ্কার বা পদে নিয়োগ দিতে পারেন— তা বাতিলের দাবি জানান।
গত মে মাসে সিদ্ধান্ত হয়, ২৮ জুন সম্মেলন হবে। কিন্তু জি এম কাদের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মসূচির কথা বলে সেটি স্থগিত করেন। অথচ সে দিন কোনো কর্মসূচি ছিল না বলে দাবি করেন আনিসুল ইসলাম ও হাওলাদার। ক্ষোভে তারা একই দিনে কাকরাইলে সম্মেলনের ঘোষণা দেন। জি এম কাদের পাল্টা সমাবেশ ডাকলে দুই পক্ষই পিছু হটে।
সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদপন্থী নেতাদের অংশগ্রহণও ছিল লক্ষণীয়। উপস্থিত ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রত্না, ও আরও অনেকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নেতৃত্বের দ্বৈততা এবং গঠনতন্ত্রবিরোধী সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয় পার্টি এখন অস্তিত্ব সংকটে। এক সময়ের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটি এখন ভাঙনের মুখে।
#GMKader #JatiyaPartyCrisis #AnisulIslamMahmud #RuhulAminHowlader #MujibulHaqueChunnu #JapaPolitics #BangladeshPolitics #RoashonErshad #PoliticalInfighting #BNNews