ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি নিয়ে চলমান দেওয়ানি মামলার পরও প্রতিপক্ষ একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে এবং চাষাবাদ শুরু করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, গড়িয়া বুনিয়া মৌজার এসএ খতিয়ান নং ৯৫/৯৬/৯৭ এবং জে এল নং ৫-এর অন্তর্ভুক্ত ৭৫ শতাংশ জমি নিয়ে বেতাগী সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা নং ১৩৪/১২ চলমান রয়েছে। আদালত ওই জমিতে স্থিতাবস্থার (Status Quo) নির্দেশনা দিলেও প্রতিপক্ষ তা অমান্য করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়।
অভিযোগ উঠেছে, বরগুনার বেতাগী উপজেলার গড়িয়া বুনিয়া এলাকার মৃত আঃ জব্বারের ছেলে মো. জাফর ইকবাল ও মো. আলমগীর হোসেন, মৃত আঃ আজিজের ছেলে মো. গফফার, আঃ গফফারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম শান্ত ও ছোটনসহ প্রায় ৪০-৫০ জন ব্যক্তি দখলচেষ্টায় অংশ নেন। এছাড়া তালতলী উপজেলার রুস্তম আলী ঘরামির ছেলে মো. লিটন নামেও একজন অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত।
জমির মালিক দাবিদার আলহাজ্ব মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন,
“আমার মালিকানাধীন জমিতে মামলা চলমান থাকাকালীন সময়ে প্রতিপক্ষ ভুয়া দলিল তৈরি করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাকে ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায় এবং জোর করে জমি চাষ করতে শুরু করে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ১৯৬৩ সালের খেপুপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জাল দলিল তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে জমিটি আত্মসাতের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হঠাৎ করেই প্রতিপক্ষ দল চাষের যন্ত্রপাতি নিয়ে জমিতে ঢুকে পড়ে এবং চাষাবাদ শুরু করে। মালিকপক্ষ বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষ হুমকি দিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।
ইউপি সদস্য মো. বারেক মুন্সী বলেন,
“দীর্ঘদিন ধরে মতিউর রহমান জমিটি ভোগদখল করে আসছেন। তবে এখন জাফর ইকবালের পরিবারও জমির দাবিদার হয়ে চাষাবাদ করতে চাইছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।”
অভিযুক্ত জাফর ইকবাল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“আমরা বাপ-দাদার জমিতে চাষ করছি। আমাদের বিরুদ্ধে এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।”
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন,
“এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
#বরগুনা #বেতাগী #জমি_দখল #আদালতের_নিষেধাজ্ঞা #গ্রামীন_বিরোধ #স্থানীয়সংবাদ #বাংলাদেশ #সংঘর্ষ #আইন_শৃঙ্খলা