দুর্গেশ সরকার, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫
রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় লেংগুড়া ইউনিয়নের গোয়াইনঘাট নদীপথে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ টিম।
ইকবাল হোসেন ইমন (২১), পিতা: জালাল উদ্দিন, গ্রাম: মাটিকাপা
কুদরত উল্ল্যা (৪৩), পিতা: জিহাদ উল্ল্যা, গ্রাম: লেংগুড়া
তোফায়েল আহমেদ (২৬), পিতা: মাহমুদ আলী
বদর উদ্দিন (৪৫), পিতা: জমির উদ্দিন
রহিম উদ্দিন (৪৫), পিতা: মৃত আঃ ছালাম
সুলেমান (৩০), পিতা: তাহির আলী
জানা গেছে, সরকারের ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে বালুবাহী বাল্কহেডগুলো গন্তব্যে যাওয়ার পথে লেংগুড়া গ্রামের আজমল হোসেন (২৬)-এর নেতৃত্বে একটি চাঁদাবাজ চক্র প্রতিনিয়ত নৌযানগুলো আটক করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিল।
চাঁদার দাবিতে প্রায় ১৫ দিন ধরে প্রায় ২০০টি বালুবাহী নৌকা ও আনুমানিক ১,০০০ নৌকা শ্রমিককে জিম্মি করে রাখে আজমল বাহিনী। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, প্রশাসনও নড়ে চড়ে বসে।
অভিযানের সময় চক্রনেতা আজমল হোসেন পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান,
“নৌপথে বালুবাহী নৌকা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করি এবং বাল্কহেডগুলোকে মুক্ত করে দিই।”
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন,
“চাঁদাবাজিতে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের ব্যবহৃত দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
#গোয়াইনঘাট #চাঁদাবাজি #নৌপথ #সিলেটনিউজ #অভিযান #বাংলাদেশসেনাবাহিনী #নৌপুলিশ #বাল্কহেড #বালুমহাল #স্থানীয়সংবাদ