ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজিত রাজনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. তাহের জানান, সংলাপে একটি দ্বি-ধাপীয় পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে:
স্বল্পমেয়াদে: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাব হয়েছে, যারা সীমানা নির্ধারণে কমিশনকে সহায়তা করবে।
দীর্ঘমেয়াদে: ভবিষ্যতে প্রতিটি আদমশুমারির পর সীমানা পুনঃনির্ধারণে একটি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত স্থায়ী কমিটি গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছেন দলগুলো।
তিনি বলেন:
“এটি একটি স্বাধীন কমিটি হবে। সীমানা নির্ধারণের জন্য ভৌগোলিক অঞ্চল, ভোটার অনুপাত, জরিপ—এমন নানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন।”
নামকরণ নিয়ে আলোচনা হলেও শেষপর্যন্ত ‘কমিটি’ শব্দেই দলগুলো একমত হয়।
“আমরা জামায়াত চেয়েছিলাম এর নামের শেষে ‘কমিশন’ রাখা হোক। বিএনপি শুরুতে এটি সাংবিধানিক নয়, বরং একটি আইনের মাধ্যমে গঠনের প্রস্তাব দেয়। পরে সবাই আপস করে একমত হই—এটি হবে ‘কমিটি’ এবং সাংবিধানিকভাবেই এটি গঠিত হবে,” বলেন ডা. তাহের।
ডা. তাহের অভিযোগ করেন,
“গত ১৫ বছরে বহু আসনের সীমানা ইচ্ছেমতো বদলে দিয়ে কিছু ব্যক্তিকে নির্বাচনে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার এ নিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।”
সীমানা নির্ধারণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে রাজনৈতিক ঐকমত্য
কমিটির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের অধীনে ও পরবর্তীতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি
নামকরণ নিয়ে আপস: ‘কমিশন’ নয়, ‘কমিটি’ হবে
সীমানা নিয়ে অতীতে রাজনৈতিক অপব্যবহারের অভিযোগ