ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা আলি বেলায়েতি বলেন:
“সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধের শর্তে কোনো আলোচনা হবে না। এটি আমাদের সার্বভৌম অধিকার।”
চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হওয়া পাঁচ দফা পরমাণু আলোচনা সত্ত্বেও ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর এটাই ছিল দুই পক্ষের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনার সূচনা।
এই আলোচনা ওমানের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত ১৩ জুন ইসরাইল ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালালে ষষ্ঠ দফার বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রও এই হামলায় সীমিতভাবে যোগ দেয়, যা আলোচনার পরিবেশকে আরও জটিল করে তোলে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই জানিয়েছেন:
“যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের তারিখ, সময় বা স্থান এখনও নির্ধারিত হয়নি।”
তিনি বলেন, ইরান কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী, কিন্তু সামরিক হামলার পর আলোচনার পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এক বিবৃতিতে বলেন:
“আমরা সবসময় কূটনীতি ও গঠনমূলক আলোচনা সমর্থন করেছি। এখনো শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোলা রয়েছে।”
ইসরাইল ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তবে তেহরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইরান বলছে, তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করছে এবং ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজন হয় ৯০ শতাংশের বেশি সমৃদ্ধকরণ।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা IAEA জানিয়েছে,
“ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করছে—এমন কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।”
#IranNuclearDeal #Tehran #USIranTensions #UraniumEnrichment #AliKhamenei #MasoudPezeshkian #IsraelIranConflict #IAEA #NuclearTalks #MiddleEastPolitics #USForeignPolicy #NuclearNonProliferation #JCPOA