ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫
বুধবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন:
“এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলার সময় আসেনি। আমার উপরেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এটা নিশ্চিত, এমন কোনো চুক্তি হবে না যাতে দেশের ক্ষতি হয়।”
তিনি আরও বলেন,
“যারা বলছেন বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তারা হয়তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে সরিয়ে দিচ্ছি না, বরং কিছু অপারেশনাল দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদের হাতে দিতে আলোচনা হচ্ছে।”
বিদেশি অংশগ্রহণের পক্ষে যুক্তি দিয়ে উপদেষ্টা বলেন:
“আপনারা তো জানেন পোর্টে কত চাঁদাবাজি হয়। এখনো সেটা চলছে। আমরা চাই এই পরিবেশ বদলাতে। যদি আন্তর্জাতিক কোনো কোম্পানি পেশাদারিত্ব ও বিনিয়োগ নিয়ে আসে, তবে সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।”
তিনি আরও জানান, আলোচনায় থাকা বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ৮৫টি বন্দর পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরও।
জনবল বাড়িয়ে নিজস্বভাবে বন্দর পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন:
“আন্দোলন যদি হয়, সেটা তো থামাতে পারব না। কিন্তু আমরা কোনো স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। বরং আন্তর্জাতিকভাবে যারা অভিজ্ঞ, তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। বিদেশি বিনিয়োগ মানেই বন্দর হাতছাড়া নয়।”
উপদেষ্টা আরও বলেন:
“এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কেবল স্টাডি চলছে। আমাদের পক্ষ থেকে কয়েকটি শর্তও দেওয়া হয়েছে। চুক্তি হলে সেটা হবে সরাসরি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এর মাধ্যমে আমরা দেখতে চাই কিভাবে অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ানো যায়।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালনাধিকার একটি বিদেশি কোম্পানিকে দিতে যাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে কিছু শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় বিদেশিদের অংশগ্রহণের আলোচনা চলছে
কোনো চুক্তি এখনও হয়নি, স্টাডি পর্যায়ে রয়েছে
বিদেশি প্রতিষ্ঠান ৮৫টি আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালনায় অভিজ্ঞ
দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন চুক্তি হবে না
চাঁদাবাজি বন্ধ ও দক্ষতা বাড়ানোই মূল লক্ষ্য
#চট্টগ্রামবন্দর #নৌপরিবহন #বিদেশিবিনিয়োগ #সাখাওয়াতহোসেন #বাংলাদেশ